ময়মনসিংহের নান্দাইলে তালগাছের মালিকানাকে কেন্দ্র করে আপন ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই জসিম উদ্দিনের (৬৫) রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের নিজ বানাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহত পরিবারের অভিযোগ জসিম উদ্দিনকে প্রকাশ্য দিবালোকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জসিম উদ্দিন মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র। জসিম উদ্দিনের তিন ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পুকুর পাড়ে অবস্থিত তালগাছের মালিকানা নিয়ে জসিম উদ্দিন ও ছোট ভাই বাহার উদ্দিনের সাথে বাকবিতকন্ডা ঘটে। এসময় নিহত জসিম উদ্দিনের পুত্র বধূ শরীফা তালগাছের শুকনো ডাগোয়া (কান্ড) পাড়তে গেলে বাহার উদ্দিনের স্ত্রী সোমা আক্তার বাধা প্রদান করে। পরে বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তমুল বাকবিতকন্ডার সৃষ্টির একপর্যায়ে ছোট ভাই বাহার উদ্দিন তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে বড় ভাই জসিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে। এতে জসিম উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে ঢুলে পড়ে। পরে স্থানীয়রা জসিম উদ্দিনকে দ্রুত নান্দাইল উপজেলা সদর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। জসিম উদ্দিনের নীলা-ফোল আঘাত ছাড়া কোন রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে নিহতের পুত্র আজিজুল ইসলাম জানান, বাড়িতে একা পেয়ে তারা আমার বাবাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে কৌশলগত আঘাত করে খুন করেছে। আমি খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টামুলক শাস্তির দাবী জানাই।
অপরদিকে ঘটনার পর থেকে বাহার উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছাড়া রয়েছে।
এডিশনাল এসপি গৌরীপুর সার্কেল ও নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, ভাইদের মধ্যে গোলযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি জানাযাবে। এছাড়া বিষয়টি আমরা কথিয়ে দেখছি।
এসএম