‘তথ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন জনবান্ধব আইন’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম
‘তথ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন জনবান্ধব আইন’

ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপনীয়তার অধিকার আন্তর্জাতিক আইন এবং বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে ঝুঁকি মোকাবেলায় জনবান্ধব আইন জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন দেশের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ডাটা সুরক্ষা আইনের (২০২২) সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে ভয়েস ফর ইন্টারেক্টিভ চয়েস এন্ড এমপাওয়ারম্যান্ট আয়োজিত ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা ও সুরক্ষা শীর্ষক তিনদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনীতে তারা এসব মন্তব্য করেন।

কর্মশালায় তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সুরক্ষাহীনতার কারণ, সুরক্ষার কৌশল ও ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য তথ্য প্রযুক্তির পরিচ্ছন্নতা (ডিজিটাল হাইজেন) ও ডিজিটাল টুলসের সুরক্ষা ও ব্যবহার সম্পর্কে বক্তব্য দেন।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রথমে ব্যক্তিকে সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে সাথে সাথে সুরক্ষার বিষয়কেও প্রাধান্য দিতে হবে। একই সাথে সরকারকেও সাধারণ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। নয়তো প্রযুক্তিখাতে বিপ্লবের  সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাইবার অপরাধী দ্বারা হেনেস্থার শিকার হওয়ার ভীতি তৈরি হবে। এজন্য তথ্য সুরক্ষায় একটি জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন বলেন, ভয়েসসহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিগত কয়েক বছর যাবত ডাটা সুরক্ষা ও আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। প্রস্তাবিত ডাটা সুরক্ষা আইন হলে ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার অধিকারসহ মানবাধিকার নিশ্চিত করা যাবে।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প সমন্বয়ক সেলিম আকনের সঞ্চালনায় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে  ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সায়মুম রেজা, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক ও সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

কেএস