জৈবসার ও বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রাহ বাড়ছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সবজি চাষীদের। উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নে বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুড়ে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
সরজমিনে, সবজি উৎপাদনের জন্য চাষীরা ফসলের ক্ষেতে পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ হলুদ কার্ডসহ জৈব বালাইনাশক বিভিন্ন উপকরণ তারা ব্যবহার করছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিরপাদ ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের নতুন নতুন পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি শেখানো হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, সমন্বিত বালাইনাশক ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) পদ্ধতিতে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অধীনে ২০টি গ্রুপে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের ৫শত কৃষক ১শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন শুরু করেছেন। এই পদ্ধতিতে কৃষকরা বর্তমানে লাউ, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শশা, শালগম ও টমেটো চাষ করেছেন। পরবর্র্তীতে খরিপ-১ মৌসুমে একই পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা বেগুন, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিংগা জাতীয় সবজি উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল গ্রামের কৃষক শাহিন বলেন, তিনি পরিবেশ বান্ধব উপায়ে ৬০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছিলেন। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। রাসায়নিক সার ব্যবহার ও পোকা নিধনের কীটনাশক ব্যবহার না করে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে চাষাবাদ করায় যেমন উৎপাদন বেড়েছে অপরদিকে ব্যয় কমেছে এবং মানুষের কাছে নিরাপদ সবজি পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
একই ইউনিয়নের হরতকিতলা গ্রামের কৃষক লাল মিয়া বলেন, এই পদ্ধতিতে তিনি মিষ্টি লাউ চাষাবাদ শুরু করেছেন। এতে পোকা নিধনের জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা অধিকতর কার্যকর। আগামীতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আমাদের সমস্ত জমিতে চাষাবাদ করবো কারণ এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে কৃষি অফিসাররা আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার পাল জানান, প্রকল্পের আওতায় আইপিএম মডেল ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে কৃষকদের সবজি বীজ, চারাগাছ, জৈব সার, মালচিং সিট, সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ও বিভিন্ন ধরনের আঠালো ফাঁদসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি আগামীতে সারাদেশে এই মডেল অনুসরণ করে নিরপাদ ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।
কেএস