বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেটে যাচ্ছে কুয়াশা ভোটাররাও আসছেন ভোট কেন্দ্রে। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘ হচ্ছে ভোটারদের লাইন। এতে করে ভোট কেন্দ্রে অস্বস্তি বিরাজ করছে ভোটারদের মাঝে।
এমনকি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে আঙুলের ছাপও মিলছে না। এতে করেও অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। খোদ মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও পড়েছিলেন যান্ত্রিক বিরম্বনায়। পরে প্রায় ৩০মিনিট পর ভোট দিয়েছেন তিনি।
ভোট না দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, একটি বুথের ইভিএম যন্ত্রের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর অবশেষে সাড়ে ৯টায় ঠিক হয়েছে।
রসিক নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি হলেও বেশির ভাগই ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমের যান্ত্রিক সমস্যা এবং এর সঠিক ব্যবহার বুঝতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরীর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, আলমনগর কলেজ রোড প্রাইমারী স্কুল, সিটি কলেজ, বড়বাড়ী বয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, রাধাকৃষ্ণপুর স্কুলসহ রংপুর সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেক ভোটার।
বড়বাড়ি বয়েজ উদ্দিন স্কুল কেন্দ্রের ভোটার রুবেল বলেন, অল্প শিক্ষিত ও বয়স্ক কিছু ভোটার ইভিএম সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারছেন না। বুঝিয়ে দিলেও তারা বুঝতেছেন না। এতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে সেখানে একটা বড় সময় কাল ক্ষেপণ হচ্ছে। সেকারণে অন্যান্য ভোটারদের মাঝে সেকারণে অস্বস্তি বিরাজ করছে। ঠিক একই অভিযোগ করেন নুরুজ্জামান নামে আরেক ভোটার।
চলমান সমস্যাগুলো নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, দুই-একটি কেন্দ্রে ইভিএমে সমস্যা হলেও তাৎক্ষণিক সেটা ঠিক করা হয়েছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সকালে ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে অনেকের হাতের আঙুল শক্ত হয়েছিল। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলে জানা তিনি।
এসএম