শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর সিটির ২২৯টি কেন্দ্রর ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।এবারই প্রথম রসিক নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ভোটাররা। সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষে বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা।
তীব্র শীতের কারণে সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে। ভোটারদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যাজ পড়া কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো উপস্থিতিও দেখা গেছে।
ভোটগ্রহণ অনেক সুশৃঙ্খল হচ্ছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। প্রশাসন প্রথম থেকে সহযোগিতা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ফলে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, ভোটগ্রহণে ইভিএমে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে অনেক ভোটারকে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বুথে প্রবেশ করেও ভোট দিতে না পেরে অনেকে ফিওে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাও ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে ত্রুটির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে সিইসি বলেন, জাপার প্রার্থীর অভিযোগ ছিল একজনের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছিল। পরে ভোট দিতে পেরেছেন। প্রযুক্তিতে যেকোনো মেকানিক্যাল সমস্যা হতে পারে। ১ পার্সেন্ট ২ পার্সেন্ট হাতের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না। স্যানিটাইজার দিয়ে আঙ্গুল পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। কারো কারো মিলেছে তবে অনেকের মেলেনি। যাদের ছাপ মিলেছে না তাদের বলেছি, পরে আসতে।
ভোটের তথ্য:
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলরসহ মোট ২৬০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
মেয়র পদে ৯ প্রার্থী:
মেয়র পদে ৯ প্রার্থী হলেন-জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
এআই