কৃষি কাজ করেই আমার সংসার চলে। এ বছর ৬০ শতাংশ জমির ৩০ শতাংশের মধ্যে আলু এবং বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে খিরা আবাদ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই এসব আলু ও খিরা বিক্রি করার উপযোগী হয়ে যেত। আশা করেছিলাম, এ বছর কম হলেও ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো আলু ও খিরা বিক্রি করতে পারব। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হওয়ার আগেই রাতের আঁধারে কে বা কারা আমার খেতের সব আলু ও খিরা গাছ তুলে ফেলে নষ্ট করে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থলে গেলে এই প্রতিবেদককে এভাবেই আক্ষেপের সঙ্গে এভাবেই বলছিলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়া।
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতের যেকোনো সময়ে গ্রামের হাওরে থাকা আমার ওই জমির সব আলু ও খিরা গাছ তুলে ফেলে রাখে। পরে মঙ্গলবার বার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে জমিতে গেলে আমি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি দেখতে পাই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান প্রতিবেশী অন্য কৃষকরাও। তারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কাশেম মিয়াকে সান্ত্বনা প্রদান করেন।
স্থানীয় কৃষক ইনচান মিয়া বলেন, যারাই কাজটা করে থাকুন, এটা ঠিক হয়নি। খেতের গাছগুলোর সঙ্গে তাদের কি এমন শত্রুতা থাকতে পারে। আমরা এমন অন্যায় কাজের নিন্দা জানাই। এতে কৃষক কাশেমের অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেল।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, আলু ও খিরা গাছ তুলে ফেলে কৃষকের ক্ষতি করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সরকারি সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করব।
এসএম