ইংরেজী বর্ষ বিদায় ও বরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যার হৈ হুল্লুড় আর স্নানে মেতে উটেছে শিশু সহ বৃদ্ধরা।
থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে এবার তারকামানের হোটেল-মোটেলের অভ্যন্তর ছাড়া উন্মুক্ত কোন অনুষ্ঠান না থাকলেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেলের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হোটেল কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবছর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজন হত খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে ওপেন কনসার্টসহ নানা আয়োজন। আর এসব অনুষ্ঠান উপভোগে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু গত ৫/৬ বছর ধরে নিরাপত্তার অজুহাতে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। এতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রতিবছর হোটেল-মোটেলে ৮০/৯০ শতাংশ আগাম বুকিং হলেও এবছর কিছুটা কম।
হোটেল ওশান প্যারাডাইজের ডিউটি অফিসার মো. নাহিদ আল আমিন বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান না থাকলেও তারকামানের হোটেল মোটেল গুলোতে সাজসজ্জার পাশাপাশি রয়েছে কনসার্ট, গালা ডিনার ও রুম বুকিংয়ে বিশেষ ছাড়াসহ নানা আয়োজন।
বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ি মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, গত কিছুদিন আগের টানা ছুটি এবং থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন না থাকায় এবার আশানুরূপ পর্যটক সমাগম না হতে পারে বলছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চল পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে আগত বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলে দেড় লাখের বেশী পর্যটক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
কেএস