- স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচন
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করতে আটজন ভোটারের ভোট প্রদানের নিরাপত্তার জন্য বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসি মেহেদী হাসান, বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামানসহ অর্ধশতাধিক অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন আরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সাংসদ কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের মনোনীত প্রার্থী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু দুই ভোট পেয়ে পরাজিত হন। অপর প্রার্থী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনীত প্রার্থী ডিএম মকবুল আহমেদ ছয় ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, চন্দ্রমোহন আরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুলের সাবেক সহকারী প্রধানশিক্ষক সিরাজুল হক হাওলাদারকে অদৃশ্য একবলে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিয়ে প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান মধুকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ক্ষুব্ধ হয়ে সিটি মেয়রের সমর্থন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডিএম মকবুল আহমেদকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য প্রার্থী মনোনীত করেন। এরপর থেকেই ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে শনিবার স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য প্রায় অর্ধশতাধিক অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সূত্রমতে, সকাল ১০ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই চন্দ্রমোহন আরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক ও পুরো স্কুল ভবনের আশেপাশে পুলিশ কর্ডন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেয়। পরে মাত্র ২০ মিনিটের নির্বাচনে পাঁচজন অভিভাবক সদস্য ও তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট প্রদান শেষে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বাবুল গাজী উভয়প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষনা করেন। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে ৫২৩ জন ভোটারের মধ্যে ৪১১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পাঁচজন অভিভাবক সদস্য নির্বাতি করেন।
বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পূর্ণ ও এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তার প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।
কেএস