আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শনিবার (০৭ জানুয়ারি) শেষ হল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জেলা ইজতেমা। আয়োজকদের মতে- আখেরি মোনাজাতে দুই লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। তিনদিনে ইজতেমা মাঠে লক্ষাধিক মানুষ অবস্থান করেন। আগেরদিন শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) এ ইজতেমা মাঠে জুম্মার নামাজের জামাত দেশের সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার পাটগ্রাম পৌরসভার মাস্টারপাড়া ধরলা নদীর তীরে তিনদিনব্যাপী আয়োজিত ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও ঢাকা কাকরাইলের তাবলিগের মুরুব্বীগণ বয়ান করেন। আখেরি মোনাজাতে ইজতেমাস্থলসহ ধরলা নদীর দুই তীর, পূর্ব চৌরঙ্গী মোড়, মাস্টারপাড়া, পুরাতন বাস টার্মিনাল, সোহাগপুর মোড়, রেল স্টেশন এলাকা জুড়ে সকাল থেকে লোকজন জড়ো হয়। একপর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় এলাকাগুলো। বেলা সাড়ে ১২ টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। ২০ মিনিট স্থায়ী মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি বোরহান উদ্দিন। মোনাজাত চলাকালীন সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমাস্থলসহ আশপাশের এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
মোনাজাতে সারা বিশ্বের মুসলিম, দেশ-জাতি এবং আগামী ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার সাফল্য ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট, সাবেক পৌর মেয়র শমসের আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নের্তৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেয়।
গত ৫ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর কাকরাইলের মুফতি আরিফের আমবয়ানের মধ্যদিয়ে তিনদিনব্যাপী পাটগ্রামে এ জেলা ইজতেমা শুরু হয়। ইজেতমায় জেলার পাঁচ উপজেলার তাবলিগের সদস্যরা ছাড়াও সাধারণ মানুষেরা অংশ নেন। তিন দিনের ইজতেমায় তাবলিগের মুরুব্বী ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মুফতিগণ বয়ান করেন।
তাবলিগের লালমনিরহাট জেলা আমীর সহিদার রহমান বলেন, এ জেলা ইজতেমা থেকে তাবলিগের ১১ টি দল বের হয়েছে। এরমধ্যে ৪০ দিনের (এক চিল্লা) জন্য ৮ টি ও ১২০ দিনের (৩ চিল্লা) জন্য ৩ টি দল বের হয়েছে।
এআরএস