চট্টগ্রামে সুপরিচিত কর্ণফুলী নদী। এ নদী নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য গান-কবিতা। এক সময় সাম্পান ছিল এ নদীর জনপ্রিয় যাতায়তের পথ। এখনো কর্ণফুলী নদী দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে তিন উপজেলার নদী পাড়ের মানুষ। এখনো চাক্তাই খাতুনগঞ্জ থেকে নৌকা বোঝাই মুদি দোকানের মালামাল পরিবহন করে থাকে ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, কর্ণফুলী নদী ঘিরে দুই পাড়ে বসবাস করছেন তিন উপজেলার মানুষ। একপ্রান্তে রাউজান, অপরপ্রান্তে বোয়ালখালী উপজেলা। পূর্বপাশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা। তিন উপজেলার মাঝখানে কর্ণফুলী নদী প্রবাহিত। নদীর রাউজান অংশের বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুরহাট, খেলারঘাট, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া পষর্ন্ত কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র।
ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীর পাড় ঘিরে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট ও লাম্বুর হাট এলাকা। প্রতিদিন বিকেলে অসংখ্য পর্যটক আসছে সেখানে। নদীর ভাঙন প্রতিরোধে পাড়ে পাথরের ব্লক দেওয়ায় দৃষ্টিনন্দন হয়েছে নদী ও এলাকার পরিবেশ।
রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি গত অর্থবছরে পর্যটকদের নানা সুযোগ সৃষ্টির জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়া বরাদ্দ পেয়ে খেলার ঘাট ও লাম্বুর হাট এলাকায় পর্যটকদের জন্য বসার আসন ও বাচ্চাদের জন্য দোলনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেন। এখন নদীর শীতল পরিবেশে বেড়াতে আসে শত শত মানুষ। তারা এসে যে যার মতো করে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কর্ণফুলী নদীতে। উপভোগ করছেন নদীর অপার সৌন্দর্য। নদী আর সবুজ পাহাড়ের মেল বন্ধন মুহূর্তেই পর্যটকদের মন সতেজ করে তোলে।
কর্ণফুলিতে নৌকা ভ্রমণ করে অল্প সময়ে ঘুরে দেখা যায়, তিন থানার মানুষের জীবনযাপন। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে, আবার কেউ কেউ বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন কর্ণফুলীর তীরে। খেলার ঘাটের সৌন্দর্য অসাধারণ বলে মন্তব্য করেছেন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী তানিয়া ও প্রিয়সী। তারা জানান, সন্ধ্যা নামলে সূর্য ডুবে যাওয়া দৃশ্য খুেই সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। মাঝে মাঝে নদীর ঢেউ তীরে এসে ধাক্কা খেয়ে গানের মতো সুর তৈরি করছে।
আগত পর্যটকরা ঘুরেফিরে এসে নদীর পাশে চায়ের দোকানে বসে বিখ্যাত দই, নাস্তা, গরম গরম চা খেয়ে নদীর পাড়ে বসে বসে সময় পার করছেন। আর নদীর পড়ন্ত বিকেলের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
এআরএস