চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠভরা সরিষার সমারোহ। ভালো ফলনের সম্ভাবনায় চাষির মুখে হাসি ফুটেছে। মাঠে সবুজের মাঝে ফুটে আছে হলুদ সরিষার ফুলের সুবাস। মধু আহরণে ফুলে ফুলে বসছে মৌমাছি।
মাঝেমধ্যে কোমলমতি শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষরাও হলুদ ফুলের মধ্যে দাঁড়িয়ে-বসে আনন্দের সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলছেন।
কামার জগদইল গ্রামের শ্রী বিশ্বনাথ বর্মণ বলেন, চলতি বছর চারবিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছি। এরমধ্যে একবিঘা জমিতে কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী দিয়েছে। ফুলগুলো হয়েছে বড় আকারের। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল এসেছে। ফলন ভালো হবে আশা করছি। সরিষা তুলে ইরি ধান লাগাবো।
কৃষ্ণপুর গ্রামের নজরুলের ছেলে আব্দুল কাদের বলেন, আমি পাঁচবিঘা জমিতে সরিষা বুনেছি। ফলন ভালো হবে বলে আমি আশাবাদি। সরিষার ভালো দাম পেলে জমিতে আবারো ইরি ধান চাষাবাদ করবো। সংসারের তেলের ঘাটতি মেটাতেও আগ্রহ করে সরিষা আবাদ করেছি।
চলতি মৌসুমে নাচোল উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুন নূর জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার একশ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৭৬৫ হেক্টরে বেশি চাষাবাদ হয়েছে।
নাচোলে তৈল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৪০ জন ও রাজস্ব আওয়াতায় ১২০ জন এবং ৮২৩ জন কৃষককে ফালোআপ প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর বিঘাপ্রাতি সাড়ে ৪ থেকে ৫ মণ ফলন হতে পারে।