গাংনীতে ভাঙা সেতুতে মরণফাঁদ

ফারুক আহমেদ, মেহেরপুর প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম
গাংনীতে ভাঙা সেতুতে মরণফাঁদ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় দুটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতুতে যাতায়াত করছে লক্ষাধিক মানুষ। চলাচলের জন্য স্থানীয়রা কিছু বাঁশ খুঁটি দিয়ে সেতু দুটি কোনো রকমে চলাচলের উপযোগি করলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা স্থানীয়দের। আর এলজিইডির প্রকৌশলী বলছেন, সেতু নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
তেরাইল-দেবিপুর ও ছাতিয়ান-কুমারিডাঙ্গা সড়কে দুটি সেতু ভেঙে পড়েছে। উভয়পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে সেতু দুটি নির্মাণ করে এলজিইডি। সেতু দুটি চার বছর আগে ভেঙে যাওয়ায় তা সংস্কার বা পূর্ণঃ নির্মাণে এলজিইডি উদ্যোগি না হওয়ায় মরণফাঁদ জেনেও বাঁশ খুঁটি দিয়ে কোনো রকম চলাচল করছে এলাকবাসি।

তবে সারাক্ষণ দুর্ঘটনার ভয় তাড়া করছে সেতু দিয়ে যাতায়াতকারীদের। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল দুর পথ দিয়ে ঘরে উঠাতে হচ্ছে। এতে বেশি খরচ হচ্ছে। এই দুটি সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানগুলো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ইতোপূর্বে সেতু দুটি নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত সেতু দুটি নির্মাণ করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নিচে বাঁশের ঠেক দিয়ে  রেখে কোনো রকম চলাচল করা হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
কৃষকরা জানান, মাঠের ফসল ঘরে তুলতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের। সেতু দুটি নির্মাণ করা হলে জনদুর্ভোগ কমে যাবে। আর চাষিদের ঘরে ফসল তুলতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না এমনকি বাড়তি খরচও হবেনা।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেছে। সেতু দুটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু হবে।

এআরএস