মেহেরপুরের গাংনীর মোহাম্মদপুর মোমিনপুর সড়কটি দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় সংস্কার না করায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। এতে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রায় প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনা ঘটলেও রাস্তাটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। কৃষিপণ্য পরিবহন সহ স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিড়ম্বনায়।
উপজেলার একটি কৃষি নির্ভর এলাকা মোহাম্মদপুর-মোমিনপুর। গাংনী উপজেলা ও পাশবর্তী দৌলতপুর উপজেলার সংযোগসড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে গাংনী ও দৌলতপুর উপজেলার মানুষের চলাচল বেশি। মামলাজনিত কারণে সড়কটি দীর্ঘ দেড়যুগ সংস্কার করা হয়নি।
এতে পিচ এবং ইটের খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ভাঙ্গাচোরা সড়ক প্রতিনিয়ত চলাচল করতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাচ্ছে কৃষক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
এই ভাঙ্গা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। বিভিন্ন কৃষি পণ্য পরিবহনে কষ্ট পোহাচ্ছে চাষিরা।
সড়কের বেহাল দশা দেখে পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুব একটা আসতে আগ্রহী না হওয়ায় মাঠের বিভিন্ন ফসল নিয়ে অনেকটা লোকসানের মুখে পড়ে চাষি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, প্রায় ২০ বছর এই সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে একেবারে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই দ্রত সংস্কার করে চলাচল উপযুগি করার দাবি জানান তিনি।
কৃষক আজিবার রহমান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য আনা নেয়া সম্ভব হয়না। অনেক পথঘুরে মাঠের ফসল আনতে হয়।
কলেজছাত্র বিপ্লব হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিস কিংবা এ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করতে পারেনা। একারণে রাতের আঁধারে রোগী আনা নেয়া কষ্ট হয়। এছাড়া ধূলোবালির কারণে শিক্ষার্থীরা ময়লা পোশাকে ক্লাসে যেতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ জানান, রাস্তার কারণে এ এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে এলাকার মানুষ দুর্ভোগ শেষ হবে না।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন জানান, মোহাম্মদপুর থেকে মোমিনপুর রাস্তাটি মামলাজনিত কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ ছিলো। মামলাটি নিস্পত্তি হয়েছে। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।
এআরএস