একসাথে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পিংকি আক্তার নামের এক গৃহবধূ। তবে শারিরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় জন্মের পর থেকেই ৪ সন্তানকে আইসিইউতে চিকিৎসকের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র কৃষক বাবা আনোয়ার শিকদার। টাকার অভাবে আইসিইউ থেকে মৃত্যু ঝুকি নিয়েই ফেরার কথা ভাবছে দরিদ্র পরিবারটি। সন্তানদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্নাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো: ইনসান শরীফের মেয়ে পিংকি আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের বেপারীকান্দি ক্লাব বাজার গ্রামের মো. মানিক শিকদারের ছেলে কৃষক আনোয়ার শিকদারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ২ বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। এরপর তাদের আর কোন সন্তান না হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যান। একটি ছেলের আশায় এই দরিদ্র দম্পতি দীর্ঘদিন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করেন। এতে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা খরচও হয় তাদের। এর মধ্যে গৃহবধূ পিংকি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন। বিয়ের প্রায় ৭ বছর পর গত ৭ জানুয়ারী সকালে পিংকির প্রসব বেদনা উঠলে প্রথমে তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে ওইদিনই দুপুরে ঢাকার বড় মগবাজার আদ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ওইদিনই রাত আনুমানিক ৮ টার দিক সিজারের মাধ্যমে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্ম দেন পিংকি আক্তার। এক সাথে ৪ সন্তানের জন্ম হওয়ায় পিতা, মাতাসহ আত্বীয়-স্বজন সকলেই মহাখুশি হন। তবে জন্ম হওয়ার পর পরই শিশুগুলোর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় রাত ১ টার দিক চিকিৎসকরা শিশুগুলোকে আইসিইউতে নিয়ে রাখেন।
তবে প্রতিদিন হাসপাতালের চিকিৎসা খরচসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার জোগান দিতে হচ্ছে দরিদ্র কৃষক আনোয়ার শিকদারের। আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ঋন করে সন্তানদের চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই তার সন্তানদের বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা চান তিনি। তাকে সহযোগিতা করতে দরিদ্র কৃষক আনোয়ার শিকদারের ০১৭৭৯৩৫৬২১৮ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।
আনোয়ার শিকদার বলেন, আল্লাহ আমাকে একসাথে ৩ মেয়ে ও এক ছেলে দিয়েছেন এতে আমি, আমার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই অনেক খুশি হয়েছি। আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তারাতারি করে আদ দ্বীন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তখন বুঝিনি বেসরকারী হাসপাতালের ব্যয় এত বেশি হবে। এখন প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাগছে। সন্তানদের বাঁচাতে আত্বীয়-স্বজন সকলের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে খরচ করছি। এখন আর কোন পথ নেই। কি করবো বুঝতে পারছি না। হয়ত টাকার অভাবে নবাগত সন্তানদের মৃত্যু ঝুকি নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে। তাই আমার সন্তানদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি।
কেএস