মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মামদুদ খান নামের এক ব্যক্তি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলা নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা গ্রামে ২০২২সালের ২৭ ডিসেম্বর মানিক মিয়ার ছেলেদের সাথে আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলেদের সংঘর্ষ বাদে মানিক মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় মদন হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দুইদিন পর ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ নিহতের বড় ভাই মশিউর রহমান আজাদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসমী করে মদন থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলয় মোঃ কবির খাঁ (৬৫) এ ওমর খাঁ (৬৮) কে ২,ও ৩নং আসামি করা হয়। ২নং আসামি কবির খাঁ ছেলে মামদুদ খান নেত্রকোনা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করে।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ মানিক মিয়া ও আব্দুল মজিদ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা চলে আসছে এরই ধারাবাহিকতা উক্ত হত্যাকান্ড ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে কবুল্লা ওরফে কবির হোসেনের চাকুর আঘাতে তারই চাচতো বোন জামাই মানিক মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
২নং আসামি কবির খাঁ ছেলে এডভোকেট মামদুদ খান পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযুগে উল্লেখ করেন তার পিতা ও ৩নং আসামি ওমর খাঁ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। উক্ত ঘটনায় মামলাটি ভিন্ন ক্ষেত্রে নেওয়ার জন্যই আমার পিতা ও চাচাকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুর রহমান জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার একটি লিখিত অভিযোগ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ জানান মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কেউ যদি হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে আসামি করে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএস