খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকার দুলাভাই শাহজাহান মোল্লার সাথে পরকীয়া প্রেমের ফসল শালিকা ময়না বেগম সন্তান প্রসব। অভিযুক্ত শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না করায় সমাজের কর্তা ব্যক্তি এবং পুলিশকে দায়ি করেছেন ময়না বেগম।
জানা যায়, র্দীঘ প্রায় ১২ বছর আগে শাহজাহান মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শালিকা ময়না বেগমের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে, তাদের পরকীয়া প্রেম গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। বিষয়টি এলাকায় জানা-জানি হলে, ময়না বেগমকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে শাহজাহান মোল্লা কৌশলে শালিকা ময়না বেগমকে পুনরায় বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। ময়না বেগম তার মৃত স্বামী বাছির মিয়ার বাড়িতে বসবাস করলেও সেখানে গিয়ে ময়নার সাথে আগের মতো অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে একাধিকবার শালিকা ময়নাকে অন্তঃসত্ত্বা করে। দুলাভাইয়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের ফসল হিসেবে শালিকা একাধিকবার সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটালে শাহজাহান মোল্লা একে একে সব সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করে ময়না বেগমকে। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে সন্তান প্রসবের কথা শুনে শাহজাহান মোল্লা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা জানতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে, ময়না বেগম অভিযোগ করে বলেন, র্দীঘ ১২ বছর পূর্বে আমার বোনের বাসায় আসলে আমাকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে দুলাভাই শাহ জাহান মোল্লা একের পর এক শারীরিক সম্পর্ক করে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে সমাজে বিচার দিলে সমাজের ব্যক্তিরা থানায় বিচার দিতে বলে। থানার অভিযোগ দিতে গেলে বিচার নেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করে, যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয় না। এই ঘটনা নিয়ে দুইটি মামলা দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত তার নির্যাতন থেকে বাচঁতে পরিনি। একের পর এক জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য আমাকে বাধ্য করে। একপর্যায়ে আমার গর্ভের তার সন্তান আসে। ১৩ জানুয়ারি রাতে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এই সন্তানকেও নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন নির্যাতন করতো। এই ছেলের বাবার স্বীকৃত কে নিবে তার সুষ্ঠু বিচার চান ময়না বেগম।
মোল্লা শাহজাহান কে না পেয়ে তার স্ত্রী (ময়নার বড় বোন) সুফিয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার স্বামী এবং আমার ছোট বোন, দুই জনই এখানে অপরাধী। বিগত ১২ বছর আগে আমার ছেলে অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে জন্মভূমি রাজশাহী যাই। এসময় আমার মা এবং ছোট বোন ময়নকে বাসায় রেখে যাই। সেই সুযোগে আমার স্বামীর সাথে আমার ছোট বোনের এক প্রকার প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং তারা একে অপরের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর, আমার বোনকে মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু আবারো আমার স্বামী শাহজাহান মোল্লা তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে এবং পূনরায় শাীরিক সম্পর্ক করে যার ফলে গতকাল একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে।
এই বিষয়ে বড়পিলাক ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ছানা উল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে সমাজের কর্তাদের বিরুদ্ধে ময়না বেগম যে অভিযোগ করেন তা সঠিক নয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে এর আগে অনেকবার বিচার হয়েছে কিন্তু সে অর্থ সম্পদের দাপট দেখিয়ে সমাজের কর্তাদের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অপরাধ করেছে। পরে ময়না বেগমকে আমরা আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরার্মশ দেই।
গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ রশীদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে একাধিকবার এই ঘটনা ঘটলেও কোনো রকম বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলেন, এই ধরণের ব্যাভীচারীর কারণে পারিবারিক অশান্তি এবং সমাজিক অভক্ষয় তৈরী হচ্ছে।
কেএস