রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরের সড়কের সাথে স্কুল এলাকায় গতিরোধকের জোর দাবি উঠেছে। সম্প্রতি একাধিক দুর্ঘটনার পর এ দাবি তোলা হচ্ছে। গতিরোধকের দাবিতে একটি লিখিত আবেদনও করেছেন বালিয়াকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধুমোল্যার মোড় হতে বালিয়াকান্দি কেন্দ্রীয় গোরস্থান পর্যন্ত পাকা সড়কের সাথে বালিয়াকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনিমুকুর কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। তিনটি বিদ্যালয়ে দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ভ্যান, নসিমন, ইটভাটার ট্রাকসহ বহু যানবাহন চলাচল করে। স্কুল শুরু এবং ছুটির পর বাচ্চারা সড়কের উপর বেশি যাতায়াত করে। বিশেষ করে স্কুল ছুটির পর স্কুল থেকে বের হতে হুমকি খেয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ফলে দ্রুত চলাচলকারী যানবাহনে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
বালিয়াকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ: শিক্ষক মো: আবু হাসান বলেন, ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার ছেলে আল হাছিব গত ২ তারিখে বিদ্যালয় থেকে রাস্তায় বের হলে দ্রুত গতির একটি বাইক তাঁকে চাপা দেয়। এতে আমার ছেলে মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়। শুধু আমার সন্তানই নয়, প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিশুরা।
বালিয়াকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাঁদ সুলতানা বলেন, স্কুল সংলগ্ন সড়কটি প্রধান সড়ক নয়। এখানে জনস্বার্থ এবং শিশুদের জীবনরক্ষায় গতিরোধক প্রয়োজন। স্কুল ছুটির পর শিশুরা দৌড়ে স্কুল ত্যাগ করে, ওরা বোঝে না। গতিরোধকের জন্য একটি আবেদন করেছি। আশা করি সংশ্লিষ্টরা দ্রুত গতিরোধকের ব্যবস্থা করবেন।
বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: কুতুব উদ্দীন মোল্লা বলেন, সড়কটির সাথেই আমার বিদ্যালয়, এখানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বহু যানবাহন চলাচল করে। প্রতিনিয়ত শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। জরুরি ভিত্তিতে একটি গতিরোধকের প্রয়োজন।
বালিয়াকান্দি নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে গতিরোধক দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধি বিধান রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলা হবে। উপজেলা পরিষদের আগামী সভায় বিষয়টি উপস্থাপন হলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কেএস