ঠাকুরগাঁওয়ের পাইকারি বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীনসহ নানারকম সবজির সরবরাহ, শীতের শুরুতে সবজির দাম বেশি থাকলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি নেমে এসেছে সবজির বাজারে। বিগত দুই সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে বাজারে সবজির দাম অনেকটাই কম।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ০৫-১০ টাকা করে কমেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার গোবিন্দনগর সমবায় মার্কেট, শহরের সবচেয়ে বড় সবজির পাইকারি বাজার। ভোর থেকেই জেলার পাঁচটি উপজেলাসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা উৎপাদিত সবজি নিয়ে ছুটে আসেন এ বাজারে। সারি সারি করে সাজিয়ে হাঁকডাকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বেচাকেনা।
গোবিন্দনগর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি নতুন আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৬ টাকায়। ফুলকপি ১৫ থেকে ১৭ টাকা, বাঁধাকপি ৪ থেকে ৫ টাকা, শিম ১৫ থেকে ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বেগুন প্রকারভেদে ৮ থেকে ১৬ টাকা, মুলা ৫ থেকে ৮ টাকা, ব্রকলি ১৩ থেকে ১৪ টাকা, শসা ১৬ থেকে ২০ টাকা, টমেটো প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২৬ টাকা, লাউ প্রতি পিস ১৫ থেকে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য শাকসবজি প্রকারভেদে ৫ থেকে ৭ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির দাম কমায় খুশি ক্রেতারা, সবজি কিনতে আসা রাবেয়া বেগম দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে যে দামে কিনেছিলাম তার তুলনায় দাম এখন হাতের নাগালে। শীতকালে সবজির কেনার একটা হিড়িক পড়ে যায়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ যেমন আম-কাঁঠালের ঋতু, তেমনি পৌষ-মাঘের এ সময়টা হচ্ছে সবজি খাওয়ার। দাম কম থাকলে সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুবিধা হয়। আশা করছি, সামনে আরও দাম কমবে।’
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি আসায় বাজারে দাম স্বাভাবিক আছে। ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা বাড়লেও বাড়েনি দাম। শীতকালীন সবজি কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। চাহিদা রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বেগুনসহ সবরকম সবজির।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। সে কারণে সরবরাহও বেড়েছে বাজারে। এতে কমেছে দাম।
সবজির পাশাপাশি মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের সপ্তাহের মতো প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীত আসায় বাজারে বেড়েছে হাঁসের মাংসের কদর। প্রতি কেজি দেশি হাঁস ৫৫০-৬০০ টাকা ও পিস প্রতি রাজহাঁস ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ সবকিছুর দাম কমলেও কমেনি মাছের দাম। যেখানে আগে তেলাপিয়ার কেজি ছিল ১২০-১৫০ টাকা, একই তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৮০ টাকায়। এ ছাড়া কেজি প্রতি চিংড়ি ৫৮০-৬৫০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, শোল ৫৫০-৬৫০ টাকা, টেংরা ৪০০-৪৫০ টাকা ও রূপচাঁদা ৮০০-১ হাজার ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
টিএইচ