এক মাচায় হলুদ। এক মাচায় সবুজ। আরেক মাচায় কালো। এভাবেই মাচায় মাচায় দুলছে রঙিন তরমুজ। আর এসব রঙিন তরমুজকে ঘিরে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কৃষক মো. ইদ্রিস (৪৮)।
তিনি ষোল বিঘা জমিতে হাইব্রিড রঙিন তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ জাতের তরমুজের বাইরের দিকটা সবুজ কিন্তু ভিতরের স্বাস হলুদ। খেতে সুমিষ্ট। ফলনও হয় অধিক। আর অসময়ে এসব জাতের তরমুজ চাষ করে কৃষকের লাভ হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। এ জাতের তরমুজ মাচায় ও মাঠে চাষ করা যায়।
পন্ডিতের হাটের দক্ষিণে তরমুজ বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে ২ থেকে ৩ কেজি করে। ২ শতক উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ পিছ। ষোল শতকে ১২ হাজার টাকা। প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে। গত ডিসেম্বরে ১ মাসে জমিতে বীজ রোপণ করা হয়েছিল। ৪৫ দিনে গাছে ফল ধরতে শুরু করে। আর ৬৫ দিনে বিক্রি শুরু হবে। তবে এ জাতের তরমুজ বারো মাসই চাষ করা যায়।
কৃষক ইদ্রিস বলেন এবার ‘পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ করেছি, তবে সন্দ্বীপে এ প্রথম লাল তরমুজ এ বছরেই এতো ভালো ফলন হবে এতটা আশা করিনি। চলতি মাসে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করেছি। বাকিগুলো বিক্রি করে আরও দেড় লাখ টাকার মতো পাব। আমাকে এ চাষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার।
সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বলেন, আমরা কোন জমি অনাবাদি রাখতে চাইনা, সরকার কৃষির উপর জোর দিচ্ছে, সন্দ্বীপে আমার জানা মতো হাইব্রিড রঙিন তরমুজই প্রথম কৃষকের। আমরা এসএকপি প্রকল্পের মাধ্যমে হাইব্রিড রঙিন তরমুজ চাষ শুরু করি যাতে করে আগামীতে আরো কৃষক এ চাষ করতে আগ্রহী হবে।
আরএস