রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিন উপজেলায় অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে স্হাপনা অপসরণ না করায় রংপুর- ঢাকা মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জমি অধিগ্রহন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান না হওয়ায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ এবং রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ীহাট এলাকায় অবকাঠামো অপসারণের কাজ শুরু করতে পারছে না সাসেক- ২ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
গাইবান্ধার জেলার জাতীয় মহাসড়কের ৩২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট থেকে বিটিসি পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করার পর স্হাপনা অপসারণ করে কাজ চলমান থাকলেও এখনো পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ করতে পারেনি ভূমি অধিগ্রহণ শাখা গাইবান্ধা।
সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারশন( সাসেক-২) প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর মর্ডাণ পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার রাস্তা চারলেনে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। তবে নিদিষ্ট সময়ে মধ্যে ২০ শতাংশ কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চুক্তি মোতাবেক ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালে চারলেন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালে করা চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। তবে নানাবিধ সমস্যার কারণে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হওয়ায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১১ হাজার ৮শ’ ৯৯ কোটি টাকা। পরবর্তীতে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৪ হাজার ৭ শত ৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার জন্য কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ শতাংশ কাজ শেষ না হওয়ায় আশঙ্কা করছে সাসেক-২ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে সাসেক-২ প্রকল্পের আবাসিক প্রকৌশলী অনুপ কুমার মন্ডল বলেন, সময়ের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হতে পারে। বাকি ২০ থেকে ১০ শতাংশ কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা করছি। সময় মত জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো অপসারণ করা না হলে এ জটিলতা আরো বাড়বে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার একাংশের কানুনগো তাইজুল ইসলাম জানান, ভূমি মালিকদের ৭ ধারার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে ৮ ধারার নোটিশও প্রদান করা হবে।
গাইবান্ধা জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এডিসি বলেন, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় আমাদের কাজের বিলম্ব হচ্ছে। ১২টি কেসের মধ্যে ১০টির সমাধান হয়েছে আর দুটি রয়েছে। আশা করি এ মাসেই এ দুইটি কেসের সমাধান হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও স্হাপনা অপসারণের কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এআরএস