হবিগঞ্জে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি ) সকালে জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নূরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে আমরা এমন খবর পেয়েছি। তবে আক্রান্ত রোগীর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
গত ২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮ জন রোগীর সন্ধান মিলেছে, তাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সংক্রমিত ও মৃতদের বেশিরভাগই রাজশাহীর বিভাগের। আক্রান্তদের প্রত্যেককেই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া গত বছরের চেয়ে এবার শীত মৌসুমে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা ‘বেড়েছে’ বলেও জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘ভাইরাসজনিত এই রোগ যাতে না বাড়ে সেই চেষ্টা চলছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে টেলিভিশন এবং পত্রিকায় নিপাহ ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নিপা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ, বাংলাদেশে এই হার ৭১ শতাংশ।
আইসিডিডিআর,বি বলছে, ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হলেও পরে গুরুতর স্নায়ুবিক জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা থাকে। গর্ভবতী নারীদের গর্ভাবস্থার শেষ দিকে এই জটিলতা আরও খারাপ হয়।
এআরএস