প্রেমিকের ডাকে ঘর ছাড়া ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে প্রেমিক ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে এক রিকশাচালক ওই তরুণীর সরলতার সুযোগে কৌশলে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। পরে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ যৌনপল্লি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এম এ জলিল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রেমিকের ডাকে ঘর ছাড়েন ওই তরুণী। কিন্তু ওই প্রেমিক তার সঙ্গে প্রতারণা করে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই প্রেমিক। এরপর এক রিকশাচালক ওই তরুণীর সরলতার সুযোগে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন।
ওসি আরও বলেন, এরপর সেখানে মাসখানেক ধরে যৌনতায় বাধ্য হন তরুণী। ওখানে তাকে মারধর করা হতো। এমন অভিযোগ জানিয়ে শনিবার ভুক্তভোগী তরুণী ফোন করেন ৯৯৯ নম্বরে। ভুক্তভোগী তরুণী ফোনে জানান, তিনি ফরিদপুর রথখোলা এলাকায় একটি যৌনপল্লিতে আটক আছেন, তিনি একজন সহৃদয় খদ্দেরের মোবাইলফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছেন। তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কোতোয়ালি থানার কনস্টেবল মামুনুর রশিদ কলটি রিসিভ করেছিলেন। মামুন তাৎক্ষণিক ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। পরে ৯৯৯ ডিসপ্যাচার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপন কুমার মণ্ডল সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
ওসি বলেন, সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআরএস