সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপিঠ পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলামের নৈতিক স্খলনের কারণে ঐ শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলামের শাস্তি দাবি করে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে পোরজনা বাজারসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার বিদ্যালয়ে ফিরে আসে।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম এক ডিভোর্সী নারীকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। তিনি বিবাহিত হয়েও এর আগে অন্য এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান। নতুন করে আবারও আরেক নারীকে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। এতে করে শতাধিক বছরের পুরাতন ঐতিহ্যাবাহী এ বিদ্যালয়ের উপর খারাপ প্রভাব পড়েছে এবং শিক্ষকের এমন নৈতিক স্খলনের কারনে শিক্ষার্থীদের উপরেও পড়ছে কুপ্রভাব। এজন্য এমন নৈতিকতা হারানো শিক্ষকের অপসারণ চায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওয়ারেছ আলী জানান, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা সত্যি ন্যাক্কারজনক। শুনেছি তিনি নাকি এই বিদ্যালয়ে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ডিভোর্সি এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং তাকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।
এদিকে শিক্ষকের এমন নৈতিক স্খলনের কারণে ছাত্ররাও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। আমরা মিছিল করতে নিষেধ করার পরেও তারা না শুনে শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. আমজাদ হোসেন বলোন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। এটাও জেনেছি, তিনি বিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে শিক্ষা অফিস এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডিভোর্সি এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক জড়ান বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম চাদ। দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেমর পর গত এক সপ্তাহ আগে ঐ নারী বিয়ের দাবীতে শিক্ষকের বাড়িতে অনশন শুরু করলে লোকলজ্জার ভয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন তারা।
আরএস