শাহজাদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম
শাহজাদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিজ গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি বাড়ি থেকে সাদ্দাম হোসেন (২৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গারাদাহ ইউনিয়নের মশিপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারির বাড়ির ভিতরে একটি কাঠাল গাছ থেকে সাদ্দামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম হোসেন শাহজাদপুর পৌর সদরের ডোলভিটা পাড়ার মো. ইসহাক আলীর পালিত ।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রিয়ারি) ভোরে উপজেলার গারাদাহ ইউনিয়নের মশিপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারির বাড়ির কাঠাল গাছে সাদ্দামের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পাশের বাড়ির  লোকজন চিৎকার চেচামেচি করলে আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের সকলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় বাড়ির মধ্যে কাঠাল গাছের মগডালে সাদ্দামের ঝুলন্ত লাশ।

পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ও সিরাজগঞ্জ জেলা সিআইডি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।

এদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি শাহজাদপুর পৌর সদরে হলেও তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে বাড়ি থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে মশিপুরে গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপাারির বাড়িতে। আব্দুর রাজ্জাক নিহত সাদ্দামের কোন আত্মীয় নন। তবে কেন সম্পূর্ণ  অপরিচিত ঐ বাড়িতে গিয়ে সাদ্দাম আত্মহত্যা করবে এ নিয়ে জনমনে জেগেছে নানা প্রশ্ন।

এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারি বলেন, আমরা এই সাদ্দাম হোসেনকে চিনিনা, কখন কিভাবে আমার বাড়ির গাছে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা কিছুই জানিনা। তিনি আরো বলেন, শুনেছি নিহত সাদ্দামের শশুর বাড়ি একই গ্রামের মশিপুর মধ্যপাড়া। 

এ ব্যাপারে নিহত সাদ্দামের স্বজনরা জানায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ স্ত্রীর সাথে সাদ্দামের বনিবনা হচ্ছেনা। তাই তার স্ত্রী ঢাকা  গার্মেন্টসে চাকরি করে এবং সে ঢাকাতেই থাকে। আর সাদ্দাম তার দেড় বছরের একমাত্র পুত্রকে নিয়ে শাহজাদপুর নিজ বাড়িতে থাকতো। কেন এ ধনরনের ঘটনা ঘটলো এ ব্যাপারে তারা কিছুই বলতে পারছেনা।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে । তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আরএস