লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রী মাইশা আলম প্রীতির (১৭) মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম চা নিক্ষেপে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রীতির মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি নিয়ে তার মামী রাশেদা বেগম লিপি এ ঘটনা ঘটায়। আহত অবস্থায় প্রীতিকে সদর হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লামচরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত লিপিকে ঘরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় প্রীতির অন্যান্য স্বজনরা।
প্রীতি একই এলাকার আবুধাবি প্রবাসী খোরশেদ আলমের মেয়ে ও লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত লিপি আবুধাবি প্রবাসী রাকিবুল হাসানের স্ত্রী।
প্রীতির মা রোমানা বেগম ও মামা মো. শাকিলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রীতির টনসেলের অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। এতে ঘটনার সময় গোসল করার জন্য পানি গরম করতে যায় তার মা রোমানা। তখন গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে লিপি বাধা দেয়। এতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিপির হাতে থাকা ফুটন্ত গরম চা প্রীতির মুখ ও ঘাড়ে ঢেলে দেয়। এতে তার মুখ ও ঘাড় ঝলসে যায়।
অভিযুক্ত রাশেদা বেগম লিপি বলেন, আমাকে একা পেয়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রায়ই রোমানা ও প্রীতি মারধর করে। ঘটনার সময় আমি গ্যাসের চুলাতে চা বানাচ্ছিলাম। গ্যাসের স্পিড কম থাকায় অন্য চুলা জ্বালাতে নিষেধ করি। এতে প্রীতির মা রোমানা আমাকে গালাগাল করে। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় তারা মা-মেয়ে আমার মাথার চুল টেনে ধরে। তখন আমার হাতে চা ছিল। চুল ছাড়তে বললেও তারা ছাড়েনি। এতে আমার হাত থেকে চা পড়ে গিয়ে প্রীতির মুখসহ শরীরে পড়ে। আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি। পরে তারা আমাকে বেদম মারধর করে।
আহত মাইশা আলম প্রীতি বলেন, মামি আমার মুখে গরম চা ঢেলে দিয়েছে। এতে আমার মুখ ও ঘাড় ঝলসে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, মেয়েটির মুখ ও ঘাড়ে গরম পানিতে ঝলসে গেছে। এতে শরীরের ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। তবুও আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএস