নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পলাশ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত পলাশ মোল্লা (২২) মাগুরা সদর থানাধীন ওলিমারা গ্রামের অলি মোল্লার ছেলে এবং পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য পলাশ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ কারণে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-১ এর অধীনে ভর্তি হন পুলিশ সদস্য পলাশ। পরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ওইদিনই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ সদস্যর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃত কনস্টেবল পলাশের শ্যালক ফিরোজ আলম বলেন, গত দেড় মাস আগে খেজুরের রস পান করেছিলেন পুলিশ সদস্য পলাশ। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার শরীরে জ্বর আসলে ওইদিন সকালে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।
শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ শাহানাজ পারভিন বলেন, আমাদের এখানে (শেবাচিম হাসপাতাল) ভর্তি করার পর পরই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনো আসেনি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্য পলাশ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটা আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই। তবে তারমধ্যে ভাইরাসটির সবধরনের উপসর্গই ছিলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, বিভাগের কোথাও এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত হয়নি। পুলিশ সদস্যর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
কেএস