গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ কমলেশ বাগচীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কর্মরত চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ শাখার আয়োজনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১০-১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন ডাঃ কমলেশ বাগচী। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মানববন্ধনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম উদ্দিন, অর্থোপেডিক ডাঃ জুলফিকার, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ তানভীর হোসেন, ডাঃ তরিকুল ইসলাম, ডাঃ মনির হোসাইন, ডাঃ আলিফ শাহারিয়া সহ ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার সদস্যবৃন্দ ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকাল ৭ টায় উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের জায়েদ মুন্সী (১৭) প্রচন্ড জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ কমলেশ বাগচী তাকে দ্রুত গোপালগঞ্জ সদর অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু, পরিবারের লোকজন গরিমশি করে সময় নষ্ট করে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ অথবা খুলনা নেয়নি। এমনকি রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকের দেয়া প্রয়োজনীয় টেস্ট গুলোও করায়নি। পরে দুপুরে রোগীর অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত নার্স ডাঃ কমলেশ বাগচীকে জানান। তখন তিনি শারীরিক পরীক্ষা শেষে রোগীকে মৃত ঘোষণা দিয়ে মৃত্যুসনদ প্রদান করে। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকে মারধর করে আহত করে। পরে হাসপাতালে দ্বায়িত্বরত কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কক্ষে আটকে রাখেন। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মুনসুর বলেন, চিকিৎসকের উপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস