সভাপতি-সম্পাদককে বাদ দিয়ে আ.লীগের কর্মী সমাবেশ

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম
সভাপতি-সম্পাদককে বাদ দিয়ে আ.লীগের কর্মী সমাবেশ

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে দলটির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি আভ্যন্তরীন কোন্দল দেখা দিয়েছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ আছর ফার্মহাটে সোনারায় ইউনিয়ন ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ধরনীগঞ্জ হাটে হরিণচড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্ব স্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে সমাবেশ দু’টি হয়। সোনারায় ইউনিয়নে জামিনুর রহমান এবং হরিনচড়া ইউনিয়নে দুলাল কুমার মুখোপাধ্যায়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেখিয়ে সভায় সভাপতিত্ব করা হয়।

সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদ আহমেদ শান্তু জানান, শুনেছি সোনারায় ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ হয়েছে। তবে আমাদের না জানিয়ে আওয়ামী লীগের ব্যানারে কিভাবে সমাবেশ হয়েছে সেটা বোধ্যগম্য নয়। ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ কেউ সমাবেশ সম্পর্কে অবগত নয়। ৬৫ সদস্যের কমিটির শুধুমাত্র পাঁচজন সেখানে উপস্থিত ছিল জানতে পেরেছি। বিএনপি-জাতীয় পার্টির ভাড়া করা লোকদের নিয়ে তারা কর্মী সমাবেশ করেছে।

হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খয়রুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে কর্মী সমাবেশ হয়েছে। আমরা ইউনিয়ন কমিটির কেউ আয়োজনও করি নাই। আমরা কর্মী সমাবেশের কথা জানিও না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক চৌধুরী বলেন, সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা কমিটিতে যাওয়ায়, ইউনিয়নে তার পদ শূণ্য হয়ে যায়। তাই, সহ-সভাপতিকে আমরা ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি আয়োজন করেছে। কেউ মানলেও সে সভাপতি আর না মানলেও আজ থেকে সে সভাপতি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মনোয়ার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের কিছু ষড়যন্ত্রকারী আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মানতে চায় না। তারা শেখ হাসিনার কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই কর্মী সমাবেশে উপস্থিত হয় নাই।

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক বলেন, ডোমার উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায়, আপাতত সাংগঠনিক কর্মী সভা পরিচালনা করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। আর ইউনিয়ন কমিটি ছাড়া ইউনিয়ন কর্মী সমাবেশও করা যাবে না। তারা কাউকে নতুন করে দায়িত্বও দিতে পারবে না।

কেএস