‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোন সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হবে না, এমন একটি প্রশাসনিক আদেশ সব দপ্তরে দেয়া আছে। তবে আইন আকারে পাস করা হয়নি। আইন পাস করতে পারে জাতীয় সংসদে। কোন সাংবাদিক আইসিটি এ্যাক্টে হয়রানি হবেন না।’
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের নীতি ও নৈতিকতা এবং প্রেস কাউন্সিল আইন- আচরণবিধি শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম এ কথা বলেন।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের অবস্থার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংসদে পাস করা হয়। তখন সরকার মনে করেছে, তারা সেটি করেছে। এখন বিভিন্ন স্থানে যাওয়া পারে জানতে পারি, আইনটি সাংবাদিকদের পেশায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সরকার প্রশাসনিকভাবে জানিয়েছে যেন কোন সাংবাদিকের উপর আইনটি প্রয়োগ করা না হয়। তবে সেটি আইন হিসেবে পাস হয়নি। পাস করতে পারে জাতীয় সংসদে।
এসময় সাংবাদিকদের নীতি ও নৈতিকতা এবং প্রেস কাউন্সিল ১৯৭৪ সম্পর্কিত নানা বিষয় তুলে ধরা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য জি.কে কিবরিয়া চৌধুরী, মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির।
এ সময় মাদারীপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা রাফিদ মাহবুব আহমাদ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি শাজাহান খান, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি গোলাম মাওলা, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি এমআর মুর্তজা, দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান বাদল, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি বেলাল রিজভী, দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি রিপন চন্দ্র মল্লিক, দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি মনজুর হোসেন, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি সাগর হোসেন তামিম, দৈনিক আমার সংবাদ ও ডেইলি পোস্টের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান প্রমুখ।
সেমিনারে মাদারীপুর জেলায় কর্মরত ৬০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। পরে সাংবাদিকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
কেএস