সততা, নিষ্ঠা ও কর্মগুণে প্রশংসিত ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ। তিনি সততা, দক্ষতা ও কর্মগুণে পাল্টে দিয়েছেন উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নের চিত্র।
উন্নয়নে পাল্টে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চিত্র। উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর সংস্কার, উপজেলা পরিষদের মূল ফটক আধুনিকায়ন, উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে নির্মাণ করেছেন আকর্ষনীয় ফোয়ারা। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিশাল দীঘির চারপাশে নির্মাণ করেছেন আধুনিক শারীরিক ব্যায়ামের রাস্তা।দীঘিটির চারপাশে নির্মাণ করেছেন আধুনিক আলোকসজ্জা।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদের গুরত্বপূর্ণ এলাকা গুলোর পরিত্যক্ত স্থানে করেছেন ফুলের বাগান। অন্যদিকে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামরায়দিঘীতে নির্মাণ করেছেন আধুনিক প্রধান ফটক, পিকনিকের জন্য কোটেজ, সৌর্ন্দয বর্ধন ভাসমান ব্রিজ, বাশের বাতার তৈরী বসার স্থান, এছাড়াও আলোকসজ্জা দিয়ে রামরায়দিঘীকে বেশ পরিবর্তন এনেছেনে এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অবেহেলিত মানুষদের সহযোগিতা করে পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিনামূল্যে গাছ রোপন করে গড়ে তুলেছেন বনায়ন।
খেলাধুলার প্রসার বৃদ্ধির লক্ষে উপজেলার হ্যালিবোর্ড শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামকে করেছেন অবমুক্ত। ওই খেলার মাঠে এক সময় পৌরসভার আওতাধীন সপ্তাহিক বাঁশ বেচা কেনার হাট বসতো। সেই বাস হাটি সরিয়ে মাঠকে করেছেন অবমুক্ত। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিশ্চিত করণের জন্য সচিবদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে ইউপি পরিষদের কাজের গতিশীলতা আনা হয়েছে। বিশেষ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পেতে সাধারণ মানুষকে হযরাণী মুক্ত করতে বিশেষ মনিটরিং করে হয়রানি মুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
এছাড়াও পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে রাণীশংকৈল উপজেলার ইতিহাস সমৃদ্ধি লেখা সম্বলিত ফলক নির্মাণ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অবেহেলিত প্রায় ২শত প্রতিবন্ধিকে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার। সব মিলিয়ে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে রাণীশংকৈল উপজেলায় একজন মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপজেলার ইউএনও সম্পর্কে বলেন, ইউএনও নি:সন্দেহে একজন ভাল মনের মানুষ। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি দপ্তরের কাজে গতি ও স্বচ্ছতা এসেছে। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে তিনি সততা, দক্ষতা ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও আধুনিক উন্নত রাণীশংকৈল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমি জনগণের সেবক হিসাবে যা কিছু করি আত্মতুষ্টির জন্য। এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মূলধারার গণমাধ্যমকর্মী এবং সমাজের বিশিষ্টজনরা আমার কাজে সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ৩৩ তম বিসিএসের এ কর্মকর্তা গত ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।যোগদানের কিছু দিনের মধ্যেই তার অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করে পরিষদকে নতুনভাবে ঢেলে সাজান এই কর্মকর্তা। ফলে অবকাঠামো উন্নয়নসহ উপজেলা পরিষদের দপ্তরগুলোর সার্বিক কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
কেএস