সীমান্ত হত্যা ও মাদক চোরাচালান বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত : বিজিবি প্রধান

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০২:৫৮ পিএম
সীমান্ত হত্যা ও মাদক চোরাচালান বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত : বিজিবি প্রধান

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এজ নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আনার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।

বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।

এ সময় সীমন্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন,সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য নয়, কোন পরিস্থিতি কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক,তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু  নিচে নামিয়ে আনা যায়।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর  বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ  থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন,২০১৬ সালে  কাজটি শুরু হয়েে ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়।আমাদের সর্বোচ্ছ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।

মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান,আখাউড়া আইসিপি পরিদর্শন কালে বিগ্রেডিয়ার  জেনারেল এম এম খায়রুল কবির এডিজি প্রশাসন, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহিদুল ইসলাম( সরাইল রিজন কমান্ডার), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিপ বিএসবি ব্যুরো  সদর, মো: আবুল কালাম শামস উদ্দিন রানা (সেক্টর কমান্ডার  কুমিল্লা) এবং ৬০ বিজিবি সিও আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি  ভারতীয় বিএসএফের সাথে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফের আইজি সুমিত সরণ (ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার  কমান্ডার), ডিআইজি আরএস কর্নওয়াল (গুকুলনগর সেক্টর কমান্ডার), শ্রী রাথনেশ কুমার ১২০ বিএসএফ অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএস