নীলফামারীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় মোঃ সাহাদাত হোসেন (২০) নামের এক ভূয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুর ৩টায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ লাইন্স মাঠে অংশগ্রহণকারী উর্ত্তীণ পরীক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাই বাচাইয়ের সময় উক্ত পরীক্ষার্থীর ভূয়া এডমিট কার্ড ধরা পরে কর্মরত পুলিশ সদস্যের হাতে।
পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে তার সকল কাগজ-পত্রাদি ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইন-১৯৮০ এর ৩ (ক)(খ)/৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সে ডিমলা উপজেলার মধ্য ছাতনাই এলাকার মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুক্তারুল আলম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত ২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ উপলক্ষে বিভিন্ন ইভেন্টে পরীক্ষা চলে। উক্ত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ পরীক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাই বাচাইয়ের সময় পরীক্ষার্থী মোঃ সাহাদাত হোসেন চলতি বছরের টিআরসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড না নিয়ে এসে ২০২২ সালের টিআরসি পরীক্ষার এডমিট কাড প্রদর্শন করে। উক্ত এডমিট কার্ডের সিরিয়াল নম্বরের জায়গায় ফেব্রুয়ারি/২২ সালের অকৃতকার্য এক জন পরীক্ষার্থী স্বাধীন রায়কে পাশ করানোর জন্য অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের সহযোগীতায় তার ২০২৩ সালের এডমিট কার্ডের সিরিয়াল নম্বর ১৪১৯১১২৫৭ সু-কৌশলে সন্নিবেশিত করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং উর্ত্তীণ হয়।
উক্ত এডমিট কার্ড সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার উপরোক্ত নাম প্রকাশ করে এবং প্রকৃত পক্ষে ডিসেম্বর/২২ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন না করে অন্য প্রার্থীকে পাশ করানোর জন্য পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাবলিক পরীক্ষা আইনে ওই ভূয়া পরীক্ষার্থী অপরাধ করায় নীলফামারী রিজার্ভ অফিসের এসআই বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩, তাং-৪ মার্চ ২০২৩ইং।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। এখানে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন কিংবা অন্য কোন উপায়ে এই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চাকরি হবে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্ত্বিতে। ওই ব্যক্তি অসৎ পথ অবলম্বণ করে অন্য জনকে পাশ করানোর জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সকল কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসাথে অজ্ঞাত আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।