সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৬ মার্চ) রাত ২টা ১৫ মিনিটে কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কোটার মোড় নামক স্থানে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান, কলারোয়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা, এএসআই আনোয়ার ও কনস্টেবল রাজিব আহত হয়েছেন। গোলাগুলিতে মিজান নামে এক ডাকাত সদস্য আহত হয়ে পুলিশ প্রহরায় কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ মিজান ছাড়াও তার অপর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল ও দুইটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান জানান, পরিবহণে ডাকাতির উদ্দেশ্যে দুইটি প্রাইভেটকার নিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা কোটার মোড় নামক স্থানে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে কলারোয়া থানার ওসি ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছে অবস্থানরত প্রাইভেটকার আরোহীদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে।
জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে ডাকাত দলের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে তাদের দলের বাকি পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল ও দুইটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ এএসআই আনোয়ার ও ডাকাত দলের সদস্য মিজানুর রহমান কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন,(১) যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার হাজির আলী গ্রামের বশির আহমেদের ছেলে হুমায়ূন কবির (২) সাতক্ষীরা জেলা সদরের কাটিয়া এলাকার শেখ আব্দুল হামিদের ছেলে (চাকুরীচ্যুত সেনা সদস্য) শেখ সাইদুজ্জামান (৩) যশোর কোতয়ালী থানার মোল্লা পাড়ার ফজর উদ্দিন উকিলের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম, (৪) একই এলাকার ধলা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান (৫) যশোরের শার্শা উপজেলার বসতপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ ও (৬) একই এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে আবুল কালাম।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান অতিরিক্তি পুলিশ সুপার।
আরএস