দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বুধবার (১৫ মার্চ) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি শেষ হচ্ছে। তাই আসন্ন রমজান মাসের জন্য পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
এদিকে বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে হিলি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানি পেঁয়াজ গতকাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৯ থেকে ২০ টাকা কেজিতে একদিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজি প্রতি বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করলে রমজানে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বেড়ে যাবে। রমজান আসতে আর কয়েকদিন বাকি। এসময় দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র সরকার বন্ধ করলে দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।
যে পেঁয়াজ আসছে এগুলো আগের আইপি করা। এখন নতুন করে আইপি খুললে এর সময় আজই শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে আমদানির অনুমতিপত্র না দিলে রোজার মধ্যে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। ফলে কিছু ব্যবসায়ী এ সুযোগ নেবে।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের সর্বশেষ সময়সীমা ১৫ মার্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নতুন করে অনুমতি দেয়া না হলে আজ থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। সরবরাহ কমে গেলে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে।
হিলি কাঁচা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রুবেল ও শাকিল বলেন, কয়েক দিন থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ১৯-২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুনছি আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে দাম আবার বাড়তে পারে। বিপাকে পড়বে ভোক্তারা। আজ পাইকারী বাজারে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ১৩ কর্মদিবসে ১৮০টি ট্রাকে ৫ হাজার ২২৫ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
আরএস