গত দেড় মাস হল অফিস করেন না সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (এস.এ.সি.এম.ও) মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। অফিস থেকে কোন প্রকার ছুটি না নিয়েই তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত দিনের পর দিন। কর্তৃপক্ষ তাকে চারবার কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো`কজ) করলেও তিনি উত্তর দেননি তারও। অতঃপর তার বেতন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকার কথা ছিল এই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের। কিন্তু তিনি সেদিন থেকেই এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত। পরবর্তীতে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে চারবার শো`কজ করেন কিন্তু তারও উত্তর দেননি আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এমনকি কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের ৪তারিখে মোস্তফা কামালকে প্রথমবারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো`কজ) দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কোনো উত্তর না পাওয়া গেলে এরপরে একই মাসের ৯ তারিখ ও ২৭ তারিখ আবারো তাকে শো`কজ করেন কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ চলতি মাসের (মার্চের) ১১তারিখে তাকে সর্বশেষ কারন দর্শানোর নোটিশ (শো`কজ) করা হয়। তারও কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অনুপস্থিত থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. সুমনুল হক সজিব বলেন, আমি শুধু এটুকু জানি যে সে দীর্ঘদিন হল অনুপস্থিত। কিন্তু তিনি কি কারনে অফিসে আসেন না সেটা জানিনা। তার সঙ্গে আমি একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননা।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তিনি অফিসিয়ালি কোনও ছুটিও নেননি এবং আমাদের কিছু জানানও নি। হঠাৎ করেই দীর্ঘদিন হল অনুপস্থিত। তাকে ৪বার কারন দর্শানোর নোটিশ (শো`কজ) দিলেও তিনি এর কোনও উত্তর দেননি।
ডা. ইব্রাহিম আরও বলেন, তার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে অসংখ্যবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন না। বর্তমানে সর্বশেষ তার বেতন বন্ধ করা হয়েছে। এখন সিভিল সার্জন বরাবর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে একটা পত্র দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায় এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
আরএস