কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রোশন শিমুলবাড়ী গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র শফিকুল ইসলাম কর্তৃক গ্রামের প্রতিবেশী ভাতিজি সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী (১২) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ফুলবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ফুলবাড়ী থানার মামলা নং ২৭। মামলা হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে ধর্ষক শফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, ওই মেয়ের বাবা-মা দিনমজুর হওয়ায় কাজের জন্য প্রায় সময় বাড়ির বাহিরে থাকেন। এ কারনে মেয়েটি বাড়িতে একাকী থাকেন। একাকী থাকার সুযোগ নেয় শফিকুল ইসলাম। বাড়িতে যাওয়া আসার সুযোগে এক পর্যায়ে সে প্রেমের সম্পর্ক তৈরীর চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি এটিতে অসম্মতি জানালে সে নানা রকম প্রলোভন ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এতে কাজ না হওয়ায় শেষ সুযোগ খুঁজতে থাকে। দেড় মাস আগে মেয়েটির মা তার বাপের বাড়ি যায়। তার বাবা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে থাকেন।
মেয়েটি একা থাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে শফিকুল সেই সুযোগে ঘরের ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। মেয়েটি ঘরে ঢোকা মাত্রই মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। মেয়েটি লজ্জায় কাউকে না বললেও সেই সুযোগে সে আবারো ধর্ষণ করে। গত ১৩ই মার্চ আবারো সেই উদ্দেশ্যে ওই মেয়েটির বাড়িতে আসলে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করে । এ সময় তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর সে ঘটনাটি ধামাচাপার দেয়ার জন্য বাদীর পরিবারকে নানান প্রকার টাকার লোভ, ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
আরএস