মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষােলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) কামাল হােসেন হত্যা মামলার রায়ে আলমগীর হােসেন ও আব্দুল মালেক নামের দুই আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত। সেই সাথে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা,অনাদায়ে আরাে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর হােসেন গাংনী উপজেলার ষােলটাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। এবং একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুল মালেক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরােধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হােসেনের নেতৃত্বে তার লােকজন ষােলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দীনের বাড়িতে প্রবেশ করে আব্দুল মালেকের হুকুমে রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা শুনতে পেয়ে রাফাতুল ইসলামের ভাতিজা (ভাইয়ের ছেলে) তৎকালীন ইউপি সদস্য কামাল হােসেন স্থানীয় জােড়পুকুরিয়া বাজার থেকে মােটরসাইকেলযােগে বাড়ি ফিরছিলেন। ২৫ মে,সকাল ১০টার দিকে কামাল হােসেন আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে,আব্দুল মালেকের নির্দেশে কামাল হােসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘােষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হােসেন বাদী হয়ে দঃ বিঃ ৩০২/৩৪ ধারায় আলমগীর হােসেন, আব্দুল মালেক,সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমির উদ্দীনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৫৩/১৭। জি আর কস নং- ১৬৯/২০১৭। পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অপর আসামি সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস,আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযােগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামি পক্ষের একে এম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন। আসামি পক্ষের উকিল বলেন আমার আসামি ন্যায় বিচার পায়নি সেহেতু আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো এবং আমার আসামি এই মামলা থেকে অবহিত পাবে ইনশাআল্লাহ
আরএস