আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যারা উন্নয়নের বিরোধী, যারা নারীর অধিকারের বিরোধী, যারা আমাদের শিশু অধিকারের বিরোধী, আমাদের প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে যাদের অন্তরে সহমর্মিতা নেই, যারা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘুদের উপর বারবার নির্যাতন চাপিয়ে দেয়। সেইসব অপশক্তিকে আমরা বাংলার মাটিতে দেখতে চাই না। আমরা স্বাধীনতা দিবসে প্রত্যয় ব্যক্ত করতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, যারা একাত্তর, পঁচাত্তর, একুশে আগস্টের হত্যাকারী কিংবা ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো।
রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে, যে অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত সমাজ গড়বার প্রত্যয় নিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছিল সেই বাংলাদেশকে ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো। যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলেন ২০৪১ সালের মধ্যে এ বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে নিবার্চনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর বাংলাদেশ আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। আবার স্বাধীনতার চেতনায় দেশ পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে আবার দেশ উল্টো পথে হেঁটেছে। আবারও স্বাধীনতাকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের পর নিবার্চনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরে না। সারাদেশে যত গৃহহীন মানুষ আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তাদের ঘর দিয়ে যাচ্ছেন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
আরএস