মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার চুড়ারগাতী গ্রামে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের ৩৪ একর জমি জোরপূর্বক ভোগ দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শওকত ওসমান ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
মধুমতীর তীর সংলগ্ন চরের এ জমি ঘিরে চুড়ারগাতী, আকসারচর, বহলবাড়ী, গয়েশপুর,বকসিপুরের এলাকাবাসী জড়িয়ে পড়েছেন সরাসরি সংঘর্ষে। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীরা একাধিক মানববন্ধন কর্মসূচি ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শালিস করেছেন।
মোহাম্মদপুর উপজেলার চুড়ারগাতি মৌজার ৩৪ একর জমি নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক অসহায় কৃষকের প্রায় কয়েক কোটি টাকার গাছ ও জমির ফসল কেটে জমি দখল করেছে ভূমিদস্যুরা। এরপর সেসব খালি জায়গায় বসতবাড়িসহ নানা প্রজাতির ফলজ-বনজ গাছ লাগিয়ে জায়গাগুলো দখলে নিয়েছেন এসব তারা।
শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে সালিশ ডাকলেও অভিযুক্তরা উপস্থিত হননি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাবুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ হোসেন, কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইরান হোসেন, চেয়ারম্যান বাবু বিশ্বাস, সহ অন্যান্য চেয়ারম্যান বৃন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জমির ভুক্তভোগীরা শওকতের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করলে ঐ দিনই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ দিকে উক্ত চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগীদের সমন্বয়ে শালিসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শওকত ও তার অনুসারীরা যদি ১ সপ্তাহের মধ্যে জমির মূল মালিকদেরকে জমি ফেরত না দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩০শে মার্চ দুপুরে জমির মূল মালিক, ফারুক হোসেন, মসিয়ার, সাজ্জাদ হোসেন, টগর আলী, মাসুদ, রিয়াদ, রবিউল ইসলাম, মুরাদ, লতিফ হোসেন, মিরাজ আহমেদসহ ,নাম না জানা আরো অনেকে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিগত অনেক বছর ধরে শওকত ওসমান ও হাকিম বিশ্বাস এর সমন্বয়ে আমাদের ৩৪ একর জমি জোর দখল করে ভোগ করছে।
মাগুরা রেকর্ড রুমে কর্মরত খন্দকার তারিক হাসানের নিশ্চিত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চুড়ারগাতী মৌজার ৭৫৪, ৭৫৮,৭৫৪, ৭৭১,৭৫৮,৭৭২, দাগের ১৭ একর ১০ শতক জমি যেমন ৬২ সালের রেকর্ড মূলে জমির মূল মালিক, সোনাউল্লাহ ফকির, আফসার ফকির, আজিজ ফকির।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ মৌজার জমির রেকর্ড ও পরিমাপ বিলম্বিত হওয়ায় এ সকল কৃষকের জমি দখল করে ভোগ করছেন অভিযুক্তরা।
এআরএস