নগদ অর্থগ্রহণ করেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর না দেওয়া ও টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতারণার মামলায় আসামি নজরুল ইসলামকে কারাগরে প্রেরণ করেছে আদালত।
রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুন্নাহার রীটার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
নজরুল ইসলাম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুরের মৃত আমির আলী মন্ডলের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পূর্তি উপলক্ষে দরিদ্র গৃহহীনদের মাঝে আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা টিন সেড ঘর দেওয়ার কথা বলে নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগী মফিজ উদ্দিন একই উপজেলার বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী জয়নব বেগমের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
তবে দীর্ঘদিনেও সেই ঘর না দেওয়ায় জয়নব বেগম তাদের কাছ থেকে তার টাকা ফেরত চান। সে সময় নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগী মফিজ ওই অর্থ ফেরৎ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে জয়নব বেগম বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগী মফিজকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায় নজরুল ইসলাম। জামিনে বের হওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি আদালতে হাজিরা দেননি।
রোববার বেলা ১১ টায় আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছে থেকেই টাকা নিয়েছেন নজরুল।
আজ নজরুল গ্রেফতারে প্রমাণিত হলো আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা কর্মিকেও ছার দেওয়া হয় না। আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান তিনি।
এমএইচআর
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
