নরসিংদীর পলাশে আবারও বেপরোয়া ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে মাসুম সিকদার (২৭) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের বালিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনার ঘটে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ট্রলিটি জব্দসহ চালক নাইম মোল্লা (২৪) কে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ।
নিহত মাসুম সিকদার উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মৃত ইসমাঈল সিকদারের ছেলে। তিনি ওই এলাকার দেশবন্ধু পলিমার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে দেশবন্ধু পলিমার ফ্যাক্টরি থেকে নাইট ডিউটি শেষ করে সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন মাসুম সিকদার। ফ্যাক্টরি থেকে ২’শ গজ সামনের বালিয়া মোড়ে আসলে পিছন থেকে বেপরোয়া দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়।
এতে ছিটকে গিয়ে ওই ট্রলির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় স্থানীয়রা ট্রলিসহ চালককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এর আগে গত সোমবার বেপরোয়া ইট ভর্তি ট্রলির ধাক্কায় একই ইউনিয়নের দক্ষিণদেওড়া গ্রামে সুরুজ মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন আঞ্চলিক সড়কে সাকিব শেখ (১৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয় তার সহোদর ভাই রাকিব শেখ। তারা উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওড়া পূর্ব পাড়া গ্রামের মালেক শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানান,বেপরোয়া ট্রলি ও অদক্ষ এবং নেশাগ্রস্ত চালকদের কারণে এ জেলায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা।
বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শুধু তাই নয় সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ জনপথের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে চৌচির কওে দিচ্ছে অবৈধ এ যানটি। এসব অদক্ষ চালক ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ ট্রলির বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দিন দিন বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠতে।
সাধারণ মানুষের জোড় দাবি অবৈধ এসব ট্রলির বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনের আইনই পদক্ষেপ। এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ট্রলিটি জব্দ করাসহ চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচআর