`একটি ঘরের জন্য আকুতি গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়ার` শিরোনামে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় গত ২৫ ডিসেম্বর অনলাইন ও ২৬ ডিসেম্বর প্রিন্টে সংবাদ প্রকাশিত হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তির নজরে আসে।
দৈনিক আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম তুষারের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে ২ রুমের পাকা ঘর করে দেয়ার দ্বায়িত্ব দেন তিনি। জনৈক ব্যক্তির দেয়া ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২ রুমের পাকা ঘর নির্মাণ করা হয় গ্রাম পুলিশ বাদশা ও তার পরিবারের জন্য।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে পাকা ঘর উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিনন্দ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আলী, দৈনিক আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম তুষার, মহিনন্দ ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব মোসাব্বির, সাংবাদিক আরাফাত হোসেন সাগরসহ স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, পলিথিন আর ভাঙাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া, মরিচাধরা টিনের চালায় পলিথিনের চাউনি। জীর্ণ শীর্ণ ঘরে বৃদ্ধ অসুস্থ মা, প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়ার। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চংশোলাকিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়ার পৈতৃক ১ শতক ভিটেবাড়ী ছাড়া ছিলো না কোনো সম্বল।
তার বৃদ্ধ মা কাজল বানু (৬৫), প্রতিবন্ধী স্ত্রী সাদেকা বেগম (৪০) ও ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন। কনকনে শীতে গরম কাপড় বিহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এ পরিবার টির। বৃষ্টি এলেই বাড়তো দুর্ভোগ, টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যেত ঘর। কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হলেই অসহায় দম্পতি পরিবারসহ ছুটে যেত অন্যের ঘরে।
গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়া আগে গ্রামীণ এম্বুলেন্স চালাতেন। ২০১৭ সালে গ্রাম পুলিশে নিয়োগ পান। ইতিমধ্যে তিনি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশ হিসেবে অবদান রাখায় পেয়েছেন পুরষ্কার।
পাকা ঘর পেয়ে গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়া বলেন, একটি ঘরের জন্য বিভিন্ন সময় দ্বারে দ্বারে ঘুরে কাগজ পত্র জমা দিয়েও ঘর পাই নি। আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি তুষার ভাইয়ের মাধ্যমে যে ব্যক্তি টি আমাকে ২ রুমের পাকা ঘর করে দিয়েছে তার প্রতি আমি এবং আমার পরিবার চিরঋণী। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তালা ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ভাল রাখুন।
এমএইচআর