ফেনীতে কোচিং সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার ২৬ জন শিবির কর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ফোকাস কোচিং সেন্টারের সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬টি অবিষ্ফোরিত ককটেল ও কিছু দলীয় বইপুস্তক উদ্ধার করেছে বলেও দাবি করে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে ফোকাস কোচিং সেন্টারে শিবিরের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে ২৬ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- আবদুল আলিম (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম (২১), হাবিবুল্লাহ (১৮), আনিছুর রহমান (২০), জাহিদ হোসেন (২৪), শহীদুল ইসলাম (২০), মো. সেজান (২০), আবু জাফর (২৫), মেহেদী হাসান (২১), নুর মোহাম্মদ (২০), জহিরুল ইসলাম (২০), মোরশেদুল ইসলাম (১৯), নোমায়ের বিন হোসাইন (১৯), আবদুল্লাহ আল ফাহাদ (২০), মো. জুনায়েদ (১৯), মো: আরিফ (১৯), আজিমুন করিম (২০), মুনতাছির আহাম্মদ (১৯), নুর নবী (২০), মো. সায়েম (১৮), শহিদুল ইসলাম (২৮), মো. সৌরভ হোসেন (২০), মো. ফাহিম (১৯), ইয়াছিন আরাফাত (২০), আবদুল কাদের (২৫), তাহমিদ শাহরিয়ার (১৯)।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সৈয়দ ফারুক বাদি হয়ে রাতে ফেনী মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সুদীপ কুমার দাশ জানান, নাশকতার পরিকল্পনা করতে শিবির কর্মীরা কোচিং সেন্টারে জড়ো হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৬টি ককটেল উদ্ধার ও বেশ কিছু বইপত্র জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কোচিং সেন্টারের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তাদের একটি ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সনদ বিতরণী চলছিলো। এ সময় হঠাৎ পুলিশ এসে তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে শিবিরের কোন কর্মসূচী ছিলো না।
এদিকে গ্রেপ্তার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে তার ছেলে এখানে গত কয়েকমাস কোচিং করে আসছিল। গতকাল এখানে বিতর্ক কর্মশালা ছিল। কর্মশালা চলাকালে পুলিশ এখানে অভিযান চালায় বলে তিনি শুনেছেন।
এআরএস