চৈত্র সংক্রান্তিতে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ে এখন বৈসাবী উৎসবের আমেজ বইছে। পাহাড়ীদের এই উৎসব তিনটি আলাদা নামে হলেও সমতলের মানুষের কাছে তা বৈসাবী নামে পরিচিত।
পাহাড়ের মানুষের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি তথা বিজু সাংগ্রাই বৈসুক পালন করা হচ্ছে এবার সারম্বরে। বৈসাবীকে ঘিরে পার্বত্য জনপদের পাড়া মহল্লায় চলছে ঘরে ঘরে ঐহিত্যবাহী খাবার পাঁচন খাওয়া ও বেড়ানোর ধুম সাথে চলছে অতিথি আপ্যায়ন। আর পাহাড়ে সপ্তাহ ব্যাপী চলছে নানা আয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী অধিবাসীদের বিজু, সাংগ্রাই ও বৈসুক তথা বৈসাবি উৎসবের আজ দ্বিতীয় দিন। চৈত্র সংক্রান্তির এ দিনকে চাকমারা মূলবিজু আর ত্রিপুরারা বিসিমা দিন হিসাবে পালন করে থাকে। আলাদা নামে হলেও চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা জাতিগোষ্ঠির মানুষ একযোগে পালন করে এ উৎসব।
পাহাড়ি প্রত্যেক পল্লীতে সকালে ঘরে ঘরে রান্না করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাবার পাচন। প্রায় অর্ধ শত প্রকারের সবজি দিয়ে রান্না হয় এই পাঁচন। তার সঙ্গে নানান উপদেয় খাবার দিয়ে দিন ভর চলে অতিথি আপ্যায়ন। সবাই মনে করে, পাঁচটি ঘরে পাঁজন খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সারা বছর অসুখ-বিসুখ হয় না।
আগামীকাল ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ নানাবিধ পূজা-পার্বণ আর প্রার্থনার মধ্যদিয়ে পালিত হবে গোজ্যাপোজ্যে দিন ও বর্ষবরণ উৎসব। আগামী ১৬ এপ্রিল রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়াতে মারমাদের বৃহত্তম পানি খেলা উৎসবের মধ্যদিয়েই সমাপ্তি হবে পাহাড়ের বৈসাবির উৎসব।
আর এই বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে সকল ক্ষুদ্র জাতিকে এক কাতারে নিয়ে নিয়ে আসবে এমইটাই প্রত্যাশা সকলের।
এমএইচআর