পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ক’দিন আগেও বেচাকেনা কম থাকলেও রমজানের মাঝামাঝি থেকে বেচা বিক্রি বেড়েছে। এর ফলে এক মূুহুর্ত দম ফেলার ফুসরত নেই বিক্রেতাদের।
বৃহস্পতিবার উপজেলার তালতলা বাজার, বালুচর বাজার, সিরাজদীখান বাজার, নিমতলা বাজার ও নিমতলা সুখের ঠিকানায় ঘুরে প্রতিটা দোকানে বিক্রির ধুম দেখা গেছে। ক্রেতারা জামাকাপড়, জুতা, অলঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য ভিড় করছেন দোকানে দোকানে।
ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। দোকানিরাও বাহারি রঙের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন। ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনছেন। আবার কেউ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পোশাকের টেকসই ও মানের ওপর জোর দিচ্ছেন। এছাড়া ফুটপাতের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
ইছাপুরা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, রোজার শুরুতে কাজের চাপে ঈদের কেনাকাটা করতে পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। আজ সময় করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছি ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে।
রশুনিয়া ইউনিয়ন থেকে আসা মো.আশরাফ জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। মার্কেটে অনেক ভিড়, কিন্তু উপায় নেই। এখন কেনাকাটা না করলে পরে ভালো জিনিস খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ইছাপুরা বাজারের নুশরাত ফ্যাশনের মালিক নাছির ঢালী বলেন, এবার ঈদুল ফিতর গরম মৌসুমে পড়ায় সুতি কাপড়ের পোষাকের চাহিদা বেশি রয়েছে। শার্ট, পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, ওয়ান পিস ইত্যাদি বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বেচাকেনা আরো বাড়বে বলে ব্যবসায়ীদের আশা।
ঈদের চাঁদরাত পর্যন্ত ভালো বিক্রির অপেক্ষায় তারা। কয়েকজন দোকানি জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ইফতারের সময়ও বেশ কিছু দোকানে ক্রেতাদের দেখা গেছে কেনাকাটা করতে। অনেকেই ঈদের কেনাকাটা করতে এসে ইফতার সেড়েছেন রাস্তাতেই।
সিরাজদীখান থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যানজট মুক্ত ভাবে চলাচল করতে পারে, এজন্য প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ ও পাশাপাশি গ্রামপুলিশ রাখা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আগামী দিনেও নিশ্চিন্তে মানুষ ঈদের বাজার এবং ঈদ করতে পারবে আশা রাখি।
এমএইচআর