পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের সর্দার পাড়া মৌজার নতুন ভূমি জরিপে আরএস নকশায় গড়মিল করে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ওই মৌজার অধিবাসীরা সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে আরএসপি ৭০ নকশা বাতিল করে ব্লু প্রিন্ট নকশা প্রণয়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের তেঁতুলতলায় ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ওই মৌজার প্রায় দুই শতাধিক জনগণ উপজেলায় গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলুর আশ্বাসে বাড়ি ফিরে যান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, আহসন হাবীব,ও খজিব উদ্দিন আহমেদ, মোজাম্মেল হক, সামিউল করিম প্রমুখ৷
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় নতুন করে আর এস জরিপ কাজ শুরু হয়। এসব মৌজায় পূর্বের এস এ নকশার হুবহু আর এস ব্লু প্রিন্ট নকশা তৈরী করা হয। এই সময় সর্দার পাড়া মৌজার দুটি নকশার মধ্যে ২ নং নকশাতেও ব্লু প্রিন্ট অনুযায়ি নকশা প্রস্তুত করা হয়।
একই সময়ে এই মৌজার ১ নং নকশার কাজ সম্পুর্ণ শেষ না করেই নকশা কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২০ সালে আবার এই নকশার আর এস কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ব্লু প্রিন্ট নকশা না করে পি ৭০ শিরোনামের নকশা প্রস্তুত করা হয়। এই নকশায় জমির দাগের গরমিল হয়ে যায়। এস এ নকশার সঙ্গে কোন মিল না থাকায় নকশায় নিজস্ব জমি চিহ্ণিত করতে পারছেনা ভূমি মালিকেরা।
দুই তিনটি দাগ কেটে একটি দাগের সৃষ্টি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও একটি দাগ ভেঙে দুটি দাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। কোন কোন দাগের বাউন্ডারি গরমিল। বিভিন্ন দাগে ভুলভাবে সীমানা নির্ধারন ও চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি দাগ ভেঙে অন্য দাগের সঙ্গে মিলিয়ে ৮ থেকে ১০টি নতুন দাগের সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফলে ভূমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তেঁতুলিয়া সেটেলমেন্ট অফিসে এই মৌজার ৩০ ধারায় আপত্তি গ্রহণ চলছে। আর এস নকশায় গড়মিল থাকায় এসময় একজন ভূমি মালিককে একটি দাগের বিপরীতে অন্তত: ৫/৬ টি আপত্তি (ডিসপুট) দাখিল করতে হচ্ছে। আপত্তি দাখিলের সরকারি ফি ৮০ থেকে ১০০ টাকা হলেও প্রতি আপত্তিতে নেয়া হচ্ছে ৫শ থেকে ৬ শ টাকা। । তাই সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের দাবী জানান তারা।
এর মৌজার অধিবাসীরা গণ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দিনাজপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।গত বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযোগ করা হয়।
এআরএস