নেত্রকোনার কেন্দুয়া মদন সড়কে নওপাড়া ইউনিয়নে কেন্দুয়া অংশে ভাঙা কালভার্টের জন্য ছোট বড় সকল প্রকার যানবাহন থেকে শুরু করে পথযাত্রীকে পড়তে হয়েছিল ভোগান্তিতে।
এবার এই ভোগান্তি কিছুটা দূর করতে ব্যক্তি উদ্যোগে ভাঙা কালভার্ট সংস্কার করা হয়েছে। ভাঙা কালভার্টের অংশের নিচে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এতে করে এবার কেন্দুয়া-মদন সড়কে মিলবে স্বস্তির যাত্রা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল তার নিজ অর্থায়নে কালভার্টের উপর থেকে নিচের অংশে মাটি ভরাট করে যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করে দিয়েছেন। এতে করে কালভার্টের দুটি অংশের একটি অংশ দিয়ে হাওরের পানি নদীতে নিষ্কাশন হবে।
জানা যায়, চলতি মাসের ১২ এপ্রিল থেকে কেন্দুয়া-মদন সড়কে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে হয়েছে।
এই সড়কে গাড়ি চালক ছবি মিয়া ও শামীম মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন যাবত এই সড়কে গাড়ি নিয়ে চলাচল করে পাড়িনি এতে করে আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছিল। এবার দোলাল চেয়ারম্যান সাহেব তার নিজস্ব অর্থায়নে ঠিক করে দেওয়াতে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।
উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার বলেন, উপজেলার পরিষদের তত্ত্বাবধানে শাপলা ব্রিক্স এর মালিক দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলালের সহযোগিতায় কেন্দুয়া-মদন সড়কে ভাঙা কালভার্টের মেরামতের কাজ করা হয়েছে। আশাকরি সম্পুর্ন কাজ শেষ হলে এই সড়কে গাড়ি চালক করতে পারবে।
শাপলা ব্রিকসের মালিক কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে এই সড়কে ভাঙা কালভার্ট এতে করে এই সড়কে চলাচলরত মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন সবাইকে পড়তে হয়েছিল ভোগান্তিতে। মানুষে এই ভুগান্তি দূর করতে আমার নিজস্ব অর্থায়নে নিজ উদ্যোগে ভাঙা কালভার্ট মেরামত করা হয়েছে। আশা করি হাওর জনপদ এলাকায় মানুষের ভুগান্তি দূর হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও কাবেরী জালাল বলেন, উপজেলার পরিষদের তত্ত্বাবধানে এবং শাপলা ব্রিকসের মালিকের সহযোগিতায় ভাঙা কালভার্টটি মেরামত করা হচ্ছে, আশা করি আগামী কাল থেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
এইচআর