লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ১০:২৮ এএম
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের মো. সেলিম পাটোয়ারীর ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, নন্দিগ্রাম গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. সবুজ। তারা দুইজনে এজাহারভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তার অপরজন একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম বাবলু বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাদীর করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৪/১৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য  আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এসপি।

তবে, কাকে কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এর আগে দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড়ভাই ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে হত্যাকান্ডের মিশনে কারা অংশ নেয়, সিসিটিভির এরকম একটি ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে (টিভি চ্যানেল) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সিসিটিভির এই ফুটেজ। দাবী ওঠেছে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌঁনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের পৃথক হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করেন। তারা মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানান চিকিৎসক। ঘটনার ২৭ ঘন্টা পর চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি  আবুল কাশেম জিহাদিকে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।

নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। নোমানকে প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদে তার নাম রাখা হয়েছে। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা- একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে। তিনিও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নিহত নোমানের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে অপর নিহত রাকিবের স্ত্রী ও ৭ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।

এআরএস