নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করে সাত দিন ঘরের মধ্যে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় স্ত্রীসহ পরিবারের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের সিঙ্গারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ওই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে ফারুক (৩৫) গত প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে করেন একই গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা আক্তার কে। এরপর ফারুক মালয়েশিয়া চলে যান। তাদের ১৩ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে।
এ দিকে স্ত্রী মনিরা একই গ্রামের আব্দুলের ছেলে ছানাউল্লার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তাকে বিয়ে করেন। পরে গত ঈদুল আজহার পর ফারুক দেশে এসে মনিরাকে আবার সংসারে ফিরিয়ে আনেন।
স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের পরামর্শে ফারুক নিজের টাকা খরচ করে শ্বশুর বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ করে সেখানে সংসার চালিয়ে যান।
এ দিকে গত ২৭ মার্চ রাতে স্ত্রী মনিরা আক্তার ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করে পরিবারের লোকজন নিয়ে ফারুককে ৭ দিন ধরে ঘরের ভিতরে জিম্মি করে রাখে। বুধবার সকালে ফারুক কৌশলে বের হয়ে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করে। পুলিশ মামলা গ্রহণ করে স্ত্রী মনিরাসহ তাঁর পিতা মনু মিয়া, মাতা জোসনা ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে।
এআরএস