মসজিদের পাশে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ০৫:৩৭ পিএম
মসজিদের পাশে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া

প্রায় ৫০০ বছর পুরনো প্রাচীন মসজিদ শাহ সূজা মসজিদ বা সুরা মসজিদ। সুলতানী আমলের এই মসজিদটির পাশেই দুটি গাছে থোকায় থোকায় ধরে আছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে চারপাশে। গাছে থাকা কৃষ্ণচূড়া যেন প্রাচীন এই মসজিদটির সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের নিপুণ কারুকার্যে ঘেরা এই মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের চোরগাছা গ্রামে। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত দর্শনার্থী আসে এই মসজিদটি এক নজর দেখার জন্য।

দেয়ালে খোদাই করা নির্মানশৈলীর চার গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। মসজিদের ইটের সঙ্গে পাথরের ব্যবহার, দেয়ালের মাঝে পাথরের স্তম্ভ এবং ছোট ছোট ইটের গাঁথুনি নজর কাড়ে সকলের।

এসবের বাহিরে প্রতি বছর মে-জুন মাসে মসজিদটির সৌন্দর্য্য অনেকাংশ বাড়িয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া। খড়েরি রঙের মসজিদটির ফাঁক দিয়ে দর্শনার্থীদের চোখ যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছে। মসজিদের ধারেই বিশাল আকৃতির পুকুর। আর এই পুকুর এবং মসজিদের ধারঘেঁষে লাল মাটির উচু পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে দুটি কৃষ্ণচূড়ার গাছ।

মসজিদটি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা মসজিদে নিজেদের ছবি তোলার পাশাপাশি রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। এসব ছবি স্মৃতির পাতায় যেন থেকে যায় যুগের পর যুগ।

বগুড়া জেলা থেকে পরিবার নিয়ে মসজিদটি ঘুরতে এসেছেন আবু হাসান। তিনি বলেন, ‘অনেক আগে একবার এখানে এসেছিলাম। পরিবার নিয়ে আজ আবার এসেছি। বেশ ভালো লাগছে। মসজিদের চারপাশের পরিবেশ অনেক পাল্টে গেছে।’

লাবনী আক্তার নামে অপর এক দর্শনার্থী বলেন, ‘মসজিদের পাশে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। দেখতে বেশ লাগছে। এক কথায় অসাধারণ। মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে ছবিতে মসজিদের পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ফুটে উঠছে।’

স্থানীয় হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর এই মৌসুমে গাছে কৃষ্ণচূড়া ফুটে থাকে। অনেক সময় ফুল গুলো গাছ থেকে ঝরে মাটিতে পড়ে থাকে। লাল রঙের এই ফুল সবারই নজর কাড়ে।’

সংশিষ্ট ৪নং ঘোড়াঘাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মসজিদটির সংস্কার এবং উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমাদের এই প্রাচীন মসজিদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে আরো কি কি করা যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি। সূজা মসজিদ একটি দর্শনীয় স্থানে রুপান্তরিত হয়েছে।’

এইচআর